রেডিও ও টিভি চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি কীভাবে নির্ধারিত হয়

রেডিও ও টিভি চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি কীভাবে নির্ধারিত হয়:

📻 রেডিও ও টিভি চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণের প্রক্রিয়া

১. ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম কী?

ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম হলো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভের বিভিন্ন রেঞ্জ, যা বিভিন্ন রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।


২. কেন ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ দরকার?

  • একই ফ্রিকোয়েন্সি একাধিকবার ব্যবহৃত হলে সিগন্যাল বিঘ্নিত হয়।

  • তাই ফ্রিকোয়েন্সি স্পেস ভাগ করে দিতে হয় যেন interference না হয়।

  • বিভিন্ন সেবার জন্য আলাদা আলাদা ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ করা হয়।


৩. ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ কারা করে?

পর্যায়কর্তৃপক্ষ / সংস্থা
আন্তর্জাতিক স্তরITU (International Telecommunication Union) - বিশ্বব্যাপী ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবস্থাপনা করে।
জাতীয় স্তরদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (যেমন: বাংলাদেশে BTRC - Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission) ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ ও নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণের ধাপ

ধাপবিবরণ
১. চাহিদা নিরূপণরেডিও/টিভি চ্যানেলের সংখ্যা, সেবার ধরন বিবেচনা করা হয়।
২. ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম বিশ্লেষণITU ও জাতীয় সংস্থাগুলোকে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার ও শৃঙ্খলা বুঝতে হয়।
৩. ফ্রিকোয়েন্সি প্ল্যান তৈরিনির্দিষ্ট ব্যান্ডে চ্যানেলগুলোকে ভাগ করা হয় যাতে সিগন্যাল মিশ্রিত না হয়।
৪. লাইসেন্স প্রদাননির্ধারিত ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে বাণিজ্যিক অপারেটরদের লাইসেন্স দেওয়া হয়।
৫. মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারে নিয়ম পালন হচ্ছে কিনা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়।

৫. রেডিও ও টিভির ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড উদাহরণ

মাধ্যমফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড (উদাহরণ)
AM Radio530 – 1700 kHz
FM Radio88 – 108 MHz
VHF TV30 – 300 MHz (চ্যানেল 2 থেকে 13)
UHF TV300 MHz – 3 GHz (চ্যানেল 14 থেকে 69)

৬. বিশেষ বিষয়

  • ফ্রিকোয়েন্সি রিইউজ (Reuse): দূরবর্তী এলাকাতে একই ফ্রিকোয়েন্সি আবার ব্যবহার করা যেতে পারে যাতে আরও বেশি চ্যানেল দেয়া যায়।

  • ব্যান্ডউইথ: প্রতিটি চ্যানেলের জন্য নির্দিষ্ট ব্যান্ডউইথ নির্ধারণ করা হয় যাতে ভালো সিগন্যাল পাওয়া যায়।

  • ডিজিটাল টেলিভিশন: এখন অনেক দেশ ডিজিটাল টিভিতে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবস্থাপনা করছে, যা আরো কার্যকর ও কম বিঘ্ন সৃষ্টি করে।


🔑 সংক্ষেপে:

রেডিও ও টিভি চ্যানেলের ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণ হয় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থার মাধ্যমে, যেখানে তারা ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম ভাগ করে দিয়ে interference রোধ করে এবং নির্দিষ্ট চ্যানেলের জন্য লাইসেন্স দেয়।