Emotional Intelligence (EI) of Teacher - শিক্ষকের আবেগিক বুদ্ধিমত্তা
Emotional Intelligence (EI) of Teacher বা শিক্ষকের আবেগিক বুদ্ধিমত্তা বলতে বোঝায় শিক্ষক কতটা দক্ষতার সাথে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, অন্যদের আবেগ বুঝতে পারে এবং সেগুলোকে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া ও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যবহার করতে পারে।
📌 Emotional Intelligence-এর মূল উপাদানসমূহ (Daniel Goleman মডেল অনুযায়ী)
শিক্ষকের ক্ষেত্রে এগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ:
-
Self-Awareness (আত্ম-সচেতনতা)
- শিক্ষক নিজের আবেগ ও সীমাবদ্ধতা বোঝেন।
- নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন থাকেন।
- যেমন: ক্লাসে শিক্ষার্থীর ভুলে রাগ হওয়ার আগেই নিজেকে শান্ত রাখা।
-
Self-Regulation (আবেগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা)
- শিক্ষক আবেগের বশবর্তী হয়ে তাৎক্ষণিক ভুল সিদ্ধান্ত নেন না।
- চাপ, হতাশা বা হতাশাজনক পরিস্থিতি সামলে নিতে সক্ষম হন।
- যেমন: পড়াশোনায় দুর্বল শিক্ষার্থীকে বকাঝকা না করে ধৈর্যের সাথে বোঝানো।
-
Motivation (প্রেরণা)
- শিক্ষক নিজে কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত থাকেন এবং শিক্ষার্থীদেরও শেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
- সমস্যার মাঝেও ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে পারেন।
- যেমন: শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেওয়া।
-
Empathy (সহানুভূতি)
- শিক্ষক শিক্ষার্থীর আবেগ ও পরিস্থিতি বুঝতে পারেন।
- দুর্বল, লাজুক বা সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে সাহায্য করেন।
- যেমন: অর্থনৈতিক বা পারিবারিক সমস্যার কারণে পিছিয়ে পড়া ছাত্রকে বাড়তি সময় দেওয়া।
-
Social Skills (সামাজিক দক্ষতা)
- শিক্ষক সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন।
- দল পরিচালনা, যোগাযোগ, দ্বন্দ্ব সমাধান ইত্যাদিতে দক্ষ হন।
- যেমন: শিক্ষক-অভিভাবক মিটিংয়ে ইতিবাচক ও কূটনৈতিক ভঙ্গিতে সমস্যার সমাধান করা।
📌 শিক্ষক ও আবেগিক বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব
- শিক্ষার্থীর শেখার মান বাড়ে → শিক্ষক সহমর্মিতা ও ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করলে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী হয়।
- ক্লাসরুম ম্যানেজমেন্ট সহজ হয় → আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকা শিক্ষক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেন।
- স্ট্রেস কমে যায় → চাপের মুহূর্তে শিক্ষকের মানসিক স্থিতিশীলতা থাকে।
- সম্পর্ক উন্নত হয় → শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও অভিভাবকের সাথে সুন্দর সম্পর্ক তৈরি হয়।
- সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় → শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে খোলামেলা যোগাযোগে নতুন আইডিয়া জন্ম নেয়।
📌 কিভাবে শিক্ষকরা EI উন্নত করতে পারেন?
- ধ্যান বা মেডিটেশনের মাধ্যমে আত্ম-নিয়ন্ত্রণ শেখা।
- ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীর প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করা।
- সহকর্মী ও অভিভাবকের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা।
- শিক্ষার্থীর আবেগ বোঝার জন্য সময় দেওয়া (Active Listening)।
- ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চর্চা করা।
👉 সারসংক্ষেপে বলা যায়, একজন সফল শিক্ষকের জন্য জ্ঞান ও দক্ষতার পাশাপাশি আবেগিক বুদ্ধিমত্তা অপরিহার্য। কারণ শিক্ষক শুধু পাঠদানই করেন না, তিনি শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশ, সামাজিক আচরণ ও জীবনের মূল্যবোধ তৈরিতেও বড় ভূমিকা রাখেন।